গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে একটি নতুন ব্যবস্থার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।
খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই ব্যবস্থায় গাজায় সহায়তা প্রবেশ করানো হবে, তবে তা হামাসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, গাজায় খাদ্যের মজুত আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই ফুরিয়ে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নতুন এই বিতরণব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
একজন মার্কিন কূটনীতিক অ্যাক্সিওসকে জানান, ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই বিতরণব্যবস্থা ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন পেয়েছে। তিনি একে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন যুক্তরাজ্য সরকারকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধসহ জরুরি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, গত দুই মাসে গাজায় কোনো খাদ্য, ওষুধ বা আশ্রয়সামগ্রী প্রবেশ করেনি—প্রবেশ করেছে কেবল বোমা ও গুলি।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র অনোয়ার আল–আনউনি এক বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধবিরতির সময় যে পরিমাণ খাদ্য প্রবেশ করেছিল, সেটাও প্রায় শেষ। তিনি অবরোধ তুলে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার সরকারি তথ্য অফিস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজার খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, যা যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার শামিল। তারা ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
সূত্র: আল–জাজিরা, অ্যাক্সিওস ও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা