লুলোনির পতন শুধু একটি স্থানীয় ঘটনা নয়; এটি পুরো অঞ্চলের জন্য একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। শহরটি বুরকিনা ফাসো ও আইভরি কোস্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগসুবিধা সম্পন্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ লাইনে অবস্থিত। সেখানে জেনিমের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা মানে হলো, উত্তর বুরকিনা ফাসো থেকে মালির ভেতরে যোদ্ধা, অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ প্রবাহের জন্য নতুন একটি প্রবেশদ্বার তৈরি হওয়া। এতে তাদের এমন একটি লজিস্টিক সুবিধা তৈরি হবে, যা রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে তাদের আরেক ধাপ এগিয়ে দেবে।
দক্ষিণ মালিতে সরকারের টিকে থাকার জন্য লুলোনি ছিল এক ধরনের সেফটি ভালভ। এই রক্ষাকবচ ভেঙে পড়ায় সিকাসো ও কাদিওলো অঞ্চল এখন কৌশলগতভাবে আরও উন্মুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি বামাকোকে তার দক্ষিণাঞ্চলীয় বলয় থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত করিডোরগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা দুর্বল করবে। এর ফলে রাজধানী এক অভূতপূর্ব কৌশলগত চাপের মুখে পড়তে পারে।
এই অগ্রগতি জেনিমকে আরও বিস্তৃত অভিযান পরিচালনা, দ্রুত পুনঃবিন্যাস, এবং প্রয়োজন হলে সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার সুযোগ দেবে। এভাবেই মালির ভেতরে শক্তির ভারসাম্য হয়তো নীরবে বদলে যাচ্ছে।
সূত্র: এক্স











