ইয়েমেনের রাজধানী সানার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আল-সুওয়ারি সেরামিক কারখানায় মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩২ জনের হতাহতের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এটি প্রাথমিক হিসাবমাত্র—আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আল-মায়াদিন টেলিভিশনের এক প্রতিবেদকের বরাতে জানা গেছে, ইয়েমেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জাওফ প্রদেশের খাব ও আশ-শা’ফ জেলার আল-ইয়াতামা এলাকায় দুটি মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে। একই সময়ে, সানার আকাশে মার্কিন জঙ্গিবিমান ঘন ঘন চক্কর দিতে দেখা গেছে, যা পুরো নগরজুড়ে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইয়েমেনে ধারাবাহিক বিমান হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের নতুন করে শুরু হওয়ার পর ইয়েমেনি বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমুদ্রপথে পাল্টা অভিযান চালানো শুরু করে। এরপর থেকেই মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রদেশে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে সামরিক স্থাপনাসহ বেসামরিক অবকাঠামোগুলোও।
রবিবার ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চলে দুটি সফল সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয় আসদোদের পূর্বে অবস্থিত ‘সুদত মিখা’ ঘাঁটি, দখলকৃত ইয়াফায় ‘বেন গুরিয়ন’ বিমানবন্দর এবং আশকেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এদিকে, আনসারুল্লাহর নেতা সায়্যিদ আবদুল মালিক হুথি এক বক্তব্যে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করতে পারেনি এবং পারবেও না। বরং এই আগ্রাসন আমাদের প্রতিরোধকে আরও দৃঢ় ও সুসংগঠিত করে তুলেছে।’
সূত্র: আল-মায়াদিন
