মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

হামাসের ৪০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগের দাবি, ইসরায়েলি তথ্য নিয়ে বিশেষজ্ঞের প্রশ্ন

হামাসের ৪০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগের দাবি, ইসরায়েলি তথ্য নিয়ে বিশেষজ্ঞের প্রশ্ন
হামাসের ৪০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগের দাবি, ইসরায়েলি তথ্য নিয়ে বিশেষজ্ঞের প্রশ্ন। ছবি : আল জাজিরা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ৪০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করেছে—ইসরায়েলের এমন দাবি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন একজন সামরিক বিশ্লেষক। তাঁর মতে, গাজায় চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের তথ্য প্রচার করছে তেলআবিব।

ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে জানিয়েছে, গাজার ভূগর্ভস্থ টানেল নেটওয়ার্কের ২৫ শতাংশ ইতিমধ্যে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। পাশাপাশি তারা দাবি করেছে, সম্প্রতি হামাস প্রায় ৪০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে।

তবে ইরাকি সামরিক বিশ্লেষক কর্নেল হাতেম কারিম আল–ফালাহি এই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আল–জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি গণমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, তা গাজায় সংঘাত দীর্ঘায়িত করার একটি পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল এখন গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে। তারা বলছে টানেল ধ্বংস করেছে, কিন্তু বাকি টানেলগুলোর অবস্থান এখনও শনাক্ত করতে পারছে না—এতেই তাদের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’

আল–ফালাহি আরও বলেন, যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল দাবি করেছিল, হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক কেন্দ্র গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। পরে সেই বক্তব্য পাল্টে তারা জানায়, মূল ঘাঁটি দক্ষিণের খান ইউনুসে। সেখানে টানা চার মাস যুদ্ধ চালিয়ে এখন বলছে, রাফাহই হামাসের প্রধান প্রতিরোধকেন্দ্র।

‘প্রশ্ন হলো, এত অভিযানের পরও কীভাবে এসব টানেল রয়ে গেল? যদি থাকে, তবে এখনও সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না কেন?’—জানান আল–ফালাহি।

তিনি বলেন, শহুরে ও গেরিলা যুদ্ধে প্রতিরোধকারী গোষ্ঠীগুলোর মূল লক্ষ্য থাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা ধরে রাখা, ভূমি দখলে রাখা নয়। তাই তারা কৌশল পাল্টে সরাসরি সংঘর্ষের বদলে মাইন কিংবা বিস্ফোরকের মাধ্যমে হামলা চালায়।

আল–ফালাহির ভাষায়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের সময় হামাস নিজেদের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে এবং নতুন যোদ্ধা নিয়োগের কাজ চালায়। তবে ইসরায়েল যে ৪০ হাজার যোদ্ধা নিয়োগের কথা বলছে, সে সংখ্যা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে মার্চের শুরুতে হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলের যুদ্ধের হুমকি তাদের কোনো লাভ দেবে না। এতে তাদের ব্যর্থতা আরও স্পষ্ট হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাসসাম ব্রিগেড পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। যুদ্ধ আবার শুরু হলে ইসরায়েলের বাকি সম্মানও আমরা ধূলিসাৎ করে দেব।’

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা