মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কাসসাম ব্রিগেডের: আবু উবাইদা

যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কাসসাম ব্রিগেডের: আবু উবাইদা
হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা। ছবি : আল জাজিরা

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের বন্দি মুক্তির শর্তে ইসরায়েলি দখলদারদের আটক বন্দিদের বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে এই চুক্তির সফল বাস্তবায়ন ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি রক্ষার ওপর নির্ভর করছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

রোববার সকালে এক ভিডিও বার্তায় আবু উবাইদা বলেন, ‘চারশো একাত্তর দিন আগে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, তা ফিলিস্তিন মুক্তির আন্দোলনে এক ঐতিহাসিক বাঁক তৈরি করেছে। গাজা থেকে শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল এ অঞ্চল নয়, পুরো বিশ্বের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার সুযোগ আগে ছিল, কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকার যুদ্ধের নীতিতে অটল থেকে গণহত্যা চালিয়ে গেছে।’

আবু উবাইদা জানান, ‘আমরা প্রথম থেকেই রক্তপাত বন্ধে সমঝোতার পক্ষে ছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রাণহানি কমানো। কিন্তু যদি যুদ্ধবিরতির পরও দখলদাররা চুক্তি লঙ্ঘন করে, তবে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া এবং আটক বন্দিদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় প্রতিরোধ সংগ্রামের যে অধ্যায় আমরা রচনা করেছি, তা দেখিয়ে দিয়েছে—অধিকার রক্ষায় দুর্বল বলে বিবেচিত মানুষও ইতিহাস তৈরি করতে পারে। এই লড়াই ইসরায়েলের নিরাপত্তার ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছে এবং তাদের প্রতিরোধ তত্ত্বকে ধ্বংস করেছে।’

‘গাজার যুদ্ধ প্রতিরোধ সংগ্রামের জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শত্রুর হাতে আমাদের বন্দিরা সবসময় বিপদের মধ্যে ছিল। কারণ ইসরায়েল তাদের বাঁচানোর বদলে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। তবু আমরা যতটা সম্ভব তাদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেছি।’

আবু উবাইদা বলেন, ‘এই যুদ্ধ আমাদের ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের যে ইতিহাস তৈরি করেছে, তা আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।’

শেষে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং দখলদারদের অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

উল্লেখ্য, গাজায় ৪৭১ দিনব্যাপী চলা যুদ্ধের পর রোববার সকাল সাড়ে আটটায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা