হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এক ইসরায়েলি সেনার নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তিনি স্বীকার করেছেন গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি সামরিক শক্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়। তিনি বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনা মাতান অ্যাঙ্গেলিস্ট, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে হামাসের হাতে বন্দি হন। তিনি জানান, ৫১০ দিন ধরে তিনি গাজায় বন্দি রয়েছেন।
বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাদের শক্তি প্রয়োগ করে মুক্ত করতে পারবে না। একমাত্র উপায় হলো বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করা এবং যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করা।’
এছাড়া, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনার ক্ষমতা আছে নেতানিয়াহুর ওপর প্রভাব বিস্তার করার। দয়া করে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা নিন।’
ভিডিও বার্তায় অ্যাঙ্গেলিস্ট বলেন, দীর্ঘ বন্দিদশায় শীত, সূর্যের আলো না পাওয়া ও অনিশ্চয়তার কারণে বন্দিরা মুক্তির আশা হারিয়ে ফেলছেন। তিনি দ্রুত সকল বন্দির মুক্তির দাবি জানান এবং গাজা চুক্তির তিনটি ধাপ সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গাজা থেকে জীবিত ফিরিয়ে নাও, কফিনে করে নয়।’
এছাড়া, তিনি দাবি করেন কাসসামের হাতে বন্দি সেনাদের সঙ্গে আচরণ সাধারণ বন্দিদের মতো নয়।
গাজায় ৪২ দিন ধরে চলা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনও দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ না করে নতুন করে হামলার হুমকি দিচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ দীর্ঘায়িত করতে চান, যাতে গাজা থেকে যত বেশি সম্ভব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করা যায়, কিন্তু বিনিময়ে কিছু না দিতে হয়।
এ বিষয়ে হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিরোধ আন্দোলন সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত, এবং আমাদের কাছে এমন শক্তি আছে যা যেকোনো আগ্রাসনে শত্রুকে ব্যথিত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর হুমকি তাদের দুর্বলতা ও অপমানের বহিঃপ্রকাশ। এটি আমাদের মনোবল নষ্ট করবে না, বরং আমরা তাদের বাকি অহংকারও ভেঙে দেব বিইজনিল্লাহ।’
সূত্র: আল জাজিরা