মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে স্থগিত ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তির সপ্তম দফা

নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে স্থগিত ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তির সপ্তম দফা
নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে স্থগিত ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তির সপ্তম দফা। ছবি : আল আরবি আল জাদিদ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির সপ্তম দফার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। রোববার ভোরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে যতক্ষণ না নিশ্চিত করা যায় মুক্তিপ্রাপ্তদের হস্তান্তর কোনো উস্কানিমূলক কার্যক্রম ছাড়া সম্পন্ন হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছে। নেতানিয়াহু এক পৃথক বিবৃতিতে জানান, এই অবস্থায় বন্দিমুক্তির পরবর্তী ধাপ আপাতত স্থগিত রাখা হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিয়োস এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে জানায়, শনিবার রাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুটি বৈঠকের পর নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রধানরা বন্দিমুক্তি বিলম্বিত না করার সুপারিশ করলেও, নিরাপত্তামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সা’র ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের সঙ্গে আলোচনার পর নেতানিয়াহু তার অবস্থান পরিবর্তন করেন।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রেড ক্রসকে জানায়, মুক্তির তালিকায় রয়েছেন—৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, ৬০ জন দীর্ঘমেয়াদি দণ্ডপ্রাপ্ত, ৪১ জন পূর্বে মুক্তিপ্রাপ্ত কিন্তু পুনরায় আটক হওয়া বন্দি এবং ৭ অক্টোবরের পর গাজা থেকে আটক ৪৪৫ জন ফিলিস্তিনি।

বন্দিমুক্তি স্থগিতের পর হামাসের মুখপাত্র আব্দুল লতিফ কানু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানালেও নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করছেন।’

হামাস দাবি করেছে, মধ্যস্থতাকারীদের দখলদার বাহিনীর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যেন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়।

অন্যদিকে, গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারগুলো নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ‘তিনি কেবলমাত্র জোটসঙ্গীদের সন্তুষ্ট করতে বন্দিমুক্তি প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন।’

এক বিবৃতিতে তারা আরও জানায়, ‘আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কিভাবে দ্বিতীয় ধাপের বিনিময় প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে এবং আমাদের আপনজনদের ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বন্দিমুক্তিই সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত, অন্য বিষয়গুলো পরে বিবেচনা করা যেতে পারে।’

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা