মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘গাজা দখলের প্রকাশ্য ঘোষণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংগঠনটি জরুরি আরব সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ট্রাম্পের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। গাজা তার জনগণের, এবং তারা কখনোই এটি ছেড়ে যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াশিংটনের হাতে গাজা তুলে দেওয়ার এই পরিকল্পনা মূলত অঞ্চলটির দখল নেওয়ার ষড়যন্ত্র।’
হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, গাজার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেবে না। কাসেম বলেন, ‘আমরা এক দখলদারের পরিবর্তে আরেক দখলদারিত্ব মেনে নেব না।’ তিনি ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের বক্তব্য ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার বক্তব্য পুনরায় নিশ্চিত করেন, যা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে তিনি লিখেছেন, ‘আমেরিকান সেনাদের প্রয়োজন হবে না! এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে, আর ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ ও সুন্দর নতুন আবাসে পুনর্বাসিত করা হবে।’
ফিলিস্তিনি নেতাদের প্রতিবাদ
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহেল হিন্দি বলেন, ‘যে ফিলিস্তিনি জনগণ ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ ব্যর্থ করেছিল, তারা এই নতুন ষড়যন্ত্রও প্রতিহত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৫০-এর দশকে সিনাই উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল, এবারও ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।’
হামাস বিশ্ব সম্প্রদায় ও আরব দেশগুলোকে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, শুধু নিন্দাই যথেষ্ট নয়, বরং কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমেই এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব।
সূত্র: আল আরবি আল জাদিদ
