ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান ঘোষণা করেছে তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্যপদকে প্রয়োজনীয় মনে করে না এবং রোম সংবিধির বিধিবিধান মানতে বাধ্য নয়। তাদের মতে, এই আদালত ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার পরিবর্তে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, যা ইসলামি ইমারতের নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এক সরকারি বিবৃতিতে ইমারত অভিযোগ করেছে আইসিসি আফগানিস্তানে দখলদার বাহিনীর অপরাধ ও বিশ্বজুড়ে নিরীহ মানুষের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে নীরব থেকেছে। এই অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে আদালত নিজেই ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিকে উপেক্ষা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর দেশ এই আদালতের সদস্য নয়। আফগানিস্তান, যা দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ও ঔপনিবেশিক শাসনের শিকার, তার জন্যও এই আদালতের সদস্যপদ অপরিহার্য নয়। পাশাপাশি, আগের সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বর্তমান প্রশাসনের জন্য কোনো আইনগত ভিত্তি বহন করে না।
ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আফগানিস্তানের দাবি, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এতে কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। পাশাপাশি, এতে আফগানিস্তানের বর্তমান বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
সূত্র: হুররিয়াত রেডিও