সোভিয়েত বাহিনীর আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের ৩৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে ইসলামী আমিরাত বলেছে, গত ১০০ বছরে জিহাদের সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
শুক্রবার প্রকাশিত এই বিবৃতিতে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহারের দিনটিকে আফগানিস্তানের ইতিহাসের একটি ‘গর্বের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, আফগান জনগণ সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো শক্তিশালী একটি দেশকেও পরাজিত করে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত একশো বছরে তৃতীয়বারের মতো আল্লাহর সাহায্যে আফগানিস্তান দখলমুক্ত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে আফগানদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা অত্যন্ত দৃঢ়। একই সঙ্গে আমাদের মুসলিমরা তাদের ধর্ম রক্ষায় অটল সংকল্প ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।’
ইসলামী আমিরাত আফগান জনগণকে সব ধরনের ‘ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত’ সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, পূর্বপুরুষদের দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলামী ঐক্য ও দৃঢ়তা বজায় রেখে ধর্ম, বিশ্বাস ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
অন্যদিকে, সাবেক আশ্রাফ গনি সরকারের জাতীয় পুনর্মিলন পরিষদের প্রধান আবদুল্লাহ সোভিয়েত বাহিনীর পরাজয়কে ‘আফগানিস্তানের ইতিহাসের অন্ধকার যুগের সমাপ্তি’ এবং ‘একটি অলৌকিক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের জিহাদ ও ন্যায়সংগত অবস্থান জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অভূতপূর্ব ছিল। আফগান জনগণের আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পটপরিবর্তন ঘটিয়েছিল এবং এটি অন্যান্য বঞ্চিত জাতির মুক্তির পথ সুগম করেছিল।’
তবে, তিনি আফগানিস্তানের জন্য যুদ্ধের ব্যয়বহুল মূল্য চিত্রিত করে বলেন, ‘দশ বছর ধরে চলা এই দখলদারিত্বের ফলে আফগানিস্তান মানবিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছে, বহু মানুষ পঙ্গু হয়েছে এবং লাখো মানুষকে দেশ ছেড়ে শরণার্থী হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এক দশকের যুদ্ধের পর ১৯৮৯ সালের এই দিনে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণরূপে সেনা প্রত্যাহার করে।
সূত্র: আরিয়ানা নিউজ
