মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

কায়রোয় জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলন,ট্রাম্পের উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

কায়রোয় জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলন: ট্রাম্পের উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
কায়রোয় জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলন: ট্রাম্পের উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান। ছবি : মায়াদিন

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মিসরের রাজধানী কায়রোয় একটি জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ ও অঞ্চলটি জনশূন্য করার মার্কিন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গড়ে তোলা। পাশাপাশি, গাজার মানবিক সংকট, পুনর্গঠন এবং ফিলিস্তিন ইস্যুর সামগ্রিক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আরব কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মিসর ও জর্ডানের প্রস্তাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। কায়রোসহ বিভিন্ন আরব রাজধানীতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি চলছে, এবং সম্মেলনে উচ্চপর্যায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয় সম্মেলনের এই উদ্যোগ নিয়েছেন। মিসর বর্তমানে বিভিন্ন আরব দেশের নেতাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। বিশেষ করে, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাজিদ তেব্বুনের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও তিনি গত বছরের নভেম্বরে রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন।

মিসর, জর্ডান এবং আরব লিগের বর্তমান সভাপতি বাহরাইন সম্মেলনের আয়োজন নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য— ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত আরব প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য চাপ মোকাবিলা করা। কায়রো ও আম্মানের ধারণা, এককভাবে এই পরিকল্পনা প্রতিহত করা সম্ভব নয়; তাই সম্মিলিত আরব অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জনগণকে মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তরের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছিলেন এবং দাবি করেন যে দেশ দুটি তা মেনে নেবে। তবে কায়রো ও আম্মান স্পষ্টভাবে এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আশঙ্কা করছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও চাপ বাড়াতে পারে।

এই সম্মেলনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য সাম্প্রতিক ছয় জাতির আরব বৈঠকের সিদ্ধান্তকে আরও সুসংহত করা। উক্ত বৈঠকে মিসর, সৌদি আরব, কাতার, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিন গাজার মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, পুনর্গঠনের গতি ত্বরান্বিত করা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার ওপর জোর দেয়। কায়রোর সম্মেলনে ফিলিস্তিন সংকটের দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়েও আলোচনা হবে।

সম্মেলনের মাধ্যমে আরব দেশগুলো এক কণ্ঠে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা