গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় দখলে রাখার পর করিডোরটি ছেড়ে গেল ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, এক সেনা কর্মকর্তা নেটজারিম করিডোর থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছেন। এই করিডোরটি গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, রবিবার সকালেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া চুক্তির সপ্তম দিনে প্রথমবার আংশিক সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
এদিকে, ইয়েদিয়োথ আহরোনোথ জানিয়েছে, সেনারা পূর্ব সালাহউদ্দিন সড়কের আশপাশের ঘাঁটিও ছেড়ে দেবে। ফলে মধ্য ও উত্তর গাজায় আর কোনো স্থায়ী ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি থাকবে না। কেবল সীমান্তবর্তী বাফার জোনে ১৬২ নম্বর ডিভিশনের সেনারা অবস্থান করবে।
বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনীর একমাত্র অবস্থান দক্ষিণ গাজার ফিলাদেলফি করিডোরে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নেটজারিম করিডোর পুনর্দখলের আশা করেছিলেন কিছু ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী, তবে সেনা প্রত্যাহারের ফলে সে সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়েছে।
সরঞ্জাম ধ্বংস করে সেনা প্রত্যাহার
ইসরায়েলি সম্প্রচার সংস্থা জানিয়েছে, সেনারা সরে যাওয়ার আগে নেটজারিম করিডোরে তাদের কিছু সরঞ্জাম ও মালপত্র ধ্বংস করে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সেনারা ধাপে ধাপে সরে যেতে শুরু করে, যার ফলে দক্ষিণ ও মধ্য গাজার প্রায় পাঁচ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাদের পুরোনো বাড়িতে ফেরার সুযোগ পান।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, চুক্তির ২২তম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে পুরোপুরি সরে যাবে। নেটজারিম করিডোর ও কুয়েত চত্বরের সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হবে।
চুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, গাজার সব এলাকায় ফিলিস্তিনিদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা এবং বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা।
সূত্র: আল জাজিরা