মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ সিরিয়ার নতুন সরকারকে সতর্ক করেছে, যেন তারা বিদেশি যোদ্ধাদের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ না দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ সিরিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, বিদেশি যোদ্ধাদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি সিরিয়ার ভাবমূর্তির ক্ষতি করবে এবং বিদেশি মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দেয়া হয়। সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রধান আহমদ আশ-শারার সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন দূত ড্যানিয়েল রুবেনস্টাইন এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নিয়োগ সিরিয়ার সুনাম ক্ষুণ্ণ করবে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।’
ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও একই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে আহমদ আশ-শারার সঙ্গে এক বৈঠকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ নুয়েল বারো এবং জার্মানির আনালেনা বেয়ারবক এ ইস্যুতে আলোচনা করেন।
সিরিয়ার নতুন সরকার এর আগে সেনাবাহিনীতে চীনের উইঘুর, জর্দান এবং তুরস্কের নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। দেশটি বর্তমানে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর মোট ৫০টি পদের মধ্যে অন্তত ৬টি পদে বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং ৩ জন কর্নেল পদে রয়েছেন।
এছাড়া, সিরিয়ার নতুন মন্ত্রিপরিষদ—যার অধিকাংশ সদস্যই হাইয়াত তাহরির আশ-শামের সঙ্গে যুক্ত—জানিয়েছে যে বিদেশি যোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সিরিয়ার নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের দেশে থাকার অনুমতিও দেয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরু থেকেই হাজারো বিদেশি যোদ্ধা বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে। কেউ কেউ নিজস্ব সশস্ত্র গোষ্ঠী গড়ে তুলেছে, আবার কেউ হাইয়াত তাহরির আশ-শামের মতো বিদ্যমান গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
সূত্র: আল মায়াদিন