গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইস্তেশহাদী টিমের ওপর অর্পণ করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সম্প্রতি ‘আল-আরবি আল-জাদিদ’ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান প্রতিরোধ আন্দোলনের এক শীর্ষ নেতা।
তিনি জানান, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বন্দিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ কারণেই তারা বারবার বন্দিদের তালিকা এবং অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তবে হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরায়েলের এসব চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন এবং বন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘নতুন যুদ্ধনীতি অনুযায়ী, নিয়মতান্ত্রিক চুক্তির বাইরে গাজা থেকে কোনো বন্দি জীবিত অবস্থায় বের হতে পারবে না । এমনকি বন্দিদের দেহাবশেষ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত।’ তিনি ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারকে সতর্ক করে বলেন ‘নেতানিয়াহু আপনাদের সন্তানদের জীবন নিয়ে খেলা করছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাস সম্প্রতি বন্দি বিনিময় চুক্তি ত্বরান্বিত করতে কিছু ছাড় দিয়েছে। ৩৪ জন বন্দির তালিকা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তবে সামরিক অভিযানের কারণে এদের বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত নয়।
প্রতিরোধ আন্দোলনের আরেক নেতা জানান, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধ সমাপ্তি বাস্তবায়ন করা নিয়ে মতপার্থ্যক্য রয়েছে। ইসরায়েল স্থায়ী শান্তি এবং সকল শত্রুতার সমাপ্তির প্রস্তাব দিলেও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো এটিকে অস্পষ্ট এবং ধোঁকাবাজি মনে করছে।
চলমান আলোচনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপের কাজ ৮ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে, যেখানে যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে ইসরায়েলের চাপে এবং সামরিক অভিযানের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রতিরোধ আন্দোলন বলছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি ছাড়া বন্দিদের মুক্তি অসম্ভব।
সূত্র : আল আরাবি আল জাদিদ