মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে, তুর্কি চিকিৎসকের সতর্কতা

গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে, তুর্কি চিকিৎসকের সতর্কতা
গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে, তুর্কি চিকিৎসকের সতর্কতা। ছবি : টিআরটি অ্যারাবিক

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। চিকিৎসা সেবা, খাদ্য ও পানীয় জলের তীব্র সংকটের কারণে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক ওমর ফারুক আইদোগান।

গাজায় কর্মরত এই চিকিৎসক তুরস্কের আনাদোলু সংবাদ সংস্থার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অ্যান্টিবায়োটিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। অপারেশনের পর সংক্রমণ ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা নেই, কারণ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশ সেখানে নেই বললেই চলে।’

ডা. আইদোগান আরও বলেন, ‘শিশু ও নবজাতকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শীতের কারণে গত এক সপ্তাহে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন মানুষ পলিথিন ও কাপড়ের তৈরি তাঁবুতে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও বসবাস করছে, যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক।’

তুর্কি চিকিৎসক জানান, ‘গাজায় এক বেলা খাবার জোগাড় করাও মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। খাদ্য সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে, এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে মহামারির আশঙ্কা বাড়ছে। শিশুদের অপুষ্টি এবং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।’

তুর্কি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গাজা ডাক্তার’ এবং ‘অনাথ ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে চার সদস্যের একটি চিকিৎসক দলের সঙ্গে গাজায় কাজ করছেন আইদোগান। তিনি গাজায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত এই হামলায় এক লাখ ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ।

গাজায় যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ ও অবরোধের ফলে সৃষ্ট অনাহার, চিকিৎসা সংকট ও আশ্রয়হীন মানুষের দুর্ভোগ এই উপত্যকাকে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা