পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি প্রশাসনের সিদ্ধান্তে রামাল্লায় আলজাজিরার অফিস বন্ধ করার ঘটনায় বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও দমনমূলক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। হামাস বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। এটি সাংবাদিকতা পেশার প্রতি অবমাননা এবং এমন একটি সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অপরাধ উন্মোচনের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।’
অন্যদিকে, ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনও আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘যে সময়ে ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের সংগ্রামের জন্য একটি কণ্ঠস্বর অত্যন্ত জরুরি, তখন এই সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ফিলিস্তিনি স্বার্থ রক্ষার জন্য সহায়ক নয়।’
অন্য গোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়া
প্রতিরোধ কমিটি (লিজান আল-মুকাওয়ামা) এ সিদ্ধান্তকে অন্যায় এবং ফিলিস্তিনি সংবিধানেবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, সংবিধান সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। প্রতিরোধ কমিটি দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া, ফিলিস্তিনি জাতীয় উদ্যোগ (মুবাদারা) আন্দোলন বলেছে, ‘আলজাজিরা এমন একটি মাধ্যম, যা ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে এবং দখলদার বাহিনীর অপরাধ উন্মোচন করে।’
তারা আরও জানায়, আলজাজিরা ফিলিস্তিন ও আশপাশের অঞ্চলে সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল। তাদের সাংবাদিকরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েও নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
আলজাজিরার প্রতিক্রিয়া
আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি সরকারের রামাল্লায় আলজাজিরার অফিস বন্ধ করার সিদ্ধান্তের মতই।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রামাল্লায় আলজাজিরার অফিসে অভিযান চালিয়ে ৪৫ দিনের জন্য সেটি বন্ধ করে দেয়। পরে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়। এ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সূত্র: আলজাজিরা