মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ইসরায়েল ও হামাসের মাঝে বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে সমঝোতা, দাবি হিব্রু মিডিয়ার

ইসরায়েল ও হামাসের মাঝে বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে সমঝোতা, দাবি হিব্রু মিডিয়ার
ইসরায়েল ও হামাসের মাঝে বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে সমঝোতা, দাবি হিব্রু মিডিয়ার। ছবি : আনাদোলু

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে ‘সমঝোতা’ হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সম্প্রচার সংস্থা। তবে চুক্তির বিতর্কিত বিষয়গুলো সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হামাস বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে চুক্তির বিতর্কিত বিষয়গুলোর সমাধান দ্বিতীয় ধাপে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দীদের তালিকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মতপার্থক্য রয়েছে। ইসরায়েল গাজায় আটক বন্দীদের তালিকা পেতে চাইছে। তবে হামাস জীবিত বন্দীদের নামের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

তবে মধ্যস্থতাকারীদের (যারা সাধারণত দোহা, কায়রো ও ওয়াশিংটনে সক্রিয়) মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে। প্রথম ধাপে মানবিক দিকের কার্যক্রম শুরু হবে এবং বিতর্কিত বিষয়গুলো দ্বিতীয় ধাপে আলোচনা করা হবে।

বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে ১০ হাজার ৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, গাজায় ১০০ জনের বেশি ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে। হামাস আরও জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন অ্যাটাক বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে, যাতে তারা বন্দীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। পাশাপাশি তারা পুরো যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চায়।

ইসরায়েলি সম্প্রচার সংস্থা জানিয়েছে, হামাস দুই ধাপে চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। প্রথম ধাপে নারী, প্রবীণ এবং আহত বন্দীদের বিনিময় করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধের সমাপ্তি এবং সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হবে।

হামাস জানিয়েছে, তারা গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নতুন শর্ত দিয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। নেতানিয়াহুর শর্তের মধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং সেনা প্রত্যাহার না করাই প্রধান।

ইসরায়েলের বিরোধী দল এবং বন্দী পরিবারের সদস্যরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চুক্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখতেই চুক্তি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা