মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

জাবালিয়ায় কাসসাম ব্রিগেডের হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

উত্তর গাজায় হামাসের হামলায় ১০ ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত ডজনখানেক
উত্তর গাজায় হামাসের হামলায় ১০ ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত ডজনখানেক। ছবি : সংগৃহীত

গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অস্থায়ী একটি সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়ে ৫ সেনাকে হত্যা করেছে হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড।

সোমবার এক বিবৃতিতে কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থানে প্রবেশ করে শূন্য দূরত্ব ( জিরো ডিসটেন্স ) থেকে হামলা চালায়। একই সঙ্গে তারা একটি মারকাভা ট্যাংক ও এর ক্রুকে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া, একটি সামরিক যান লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আরও কয়েকজন সেনাকে হতাহত করে।

অন্যদিকে কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বেইত হানুন এলাকায় তাদের যোদ্ধারা ‘ইয়াসিন ১০৫’ মর্টার শেল দিয়ে একটি ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে। এতে ওই যানটির ক্রুরাও হতাহত হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার গাজার উত্তরে সংঘর্ষে তাদের ‘গিভাতি ব্রিগেডের’ এক সৈন্য নিহত হয়েছে এবং একজন অফিসার গুরুতর আহত হয়েছে।

অক্টোবর থেকে গাজার উত্তরে চলমান অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী তাদের নিহত সদস্যের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

তবে সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, জাবালিয়া এলাকায় তাদের স্থল অভিযানে ‘ডজনের বেশি যোদ্ধা’ নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনীর ভাষ্য, এসব যোদ্ধা পালানোর চেষ্টা করছিল।

সংঘর্ষের পর ‘গিভাতি ব্রিগেড’ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ওয়ালা’ জানিয়েছে।

ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, গত দুই দিনে তারা তেল আবিব, জেরুজালেম, সদিরোট ও গাজার আশপাশের ইসরায়েলি বসতিগুলোতে রকেট হামলা চালিয়েছে।√বিবৃতিতে কুদস ব্রিগেড জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা এবং আল-আকসা মসজিদে হামলার জবাবে এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হলেও তা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত করেনি।

উল্লেখ্য গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহায়তায় গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ পর্যন্ত এই অভিযানে ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ১১ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

গাজার জনগণ দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসযজ্ঞ ও চিকিৎসা সংকটে দিন কাটাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এই মানবিক বিপর্যয়কে বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা