ইসরায়েল গত কয়েক বছরে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে আসাদ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কাছে বার্তা পাঠাত। এই বার্তাগুলো হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হতো এবং এতে ‘মুসা’ ছদ্মনাম ব্যবহার করা হতো। এসব বার্তা সরাসরি দামেস্কের শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছে যেত।
পত্রিকাটি আরও জানায়, ইসরায়েল ও আসাদ সরকারের মধ্যে একটি গোপন চুক্তির পরিকল্পনা ছিল। এই চুক্তির আওতায়, সিরিয়া থেকে লেবাননে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের শর্তে আসাদ সরকারের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের শেষ দিকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ইউসি কোহেন এবং বাশার আল-আসাদের মধ্যে রাশিয়ার ক্রেমলিনে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে আসাদ সেই বৈঠক বাতিল করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ‘আমান’ সিরিয়ার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলী আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ইসরায়েলের দাবি, তারা সিরিয়ায় ইরান ও হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পর এসব বার্তা পাঠাত।
চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগে কয়েক দিনের ব্যবধানে তারা দেশের অন্যান্য শহরেও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। এর মধ্য দিয়ে ৬১ বছরের বাথ পার্টির শাসন এবং আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
এর পরদিন সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রধান আহমাদ আশ শারা মোহাম্মদ আল-বাশিরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। আল-বাশির ইদলিব থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। নতুন এই সরকার উত্তরণকালীন সময়ের জন্য প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্র: রসদ নিউজ