কুয়েত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি সোমবার কুয়েতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (UNHCR) প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘কুয়েত টাইমস’ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, কুয়েত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি ড. খালেদ আল-মুগামিস কুয়েতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি নাসরিন রাবিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা নিয়ে। তিনি বৈঠকে বিশ্বজুড়ে মানবিক ও ত্রাণ কার্যক্রমে কুয়েতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর অংশীদারত্বের ওপর জোর দেন খালেদ আল-মুগামিস। তিনি মানবিক খাতকে আরও শক্তিশালী করতে উন্মুক্ত সংলাপ ও তথ্য বিনিময়ের জন্য প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
এদিকে কুয়েতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি নাসরিন রাবিয়ান বলেন, এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করা। তিনি জানান, কুয়েত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রচেষ্টায় একটি প্রধান সহায়ক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের মতো শরণার্থীদের জন্য মৌলিক সেবা প্রদান, নিরাপদ জীবনযাত্রার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যা জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। রোহিঙ্গারা মুসলিমরা ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের ওপর সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি ও সেনাবাহিনীতে জোরপূর্বক নিয়োগের ঘটনা বেড়ে যায়।
সূত্র : এএনএ