মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

কাশ্মীর সংকটে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে নয়াদিল্লির অপচেষ্টা: হুররিয়ত কনফারেন্স

কাশ্মীর সংকটে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে নয়াদিল্লির অপচেষ্টা: হুররিয়ত কনফারেন্স
কাশ্মীর সংকটে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে নয়াদিল্লির অপচেষ্টা: হুররিয়ত কনফারেন্স। ছবি : KMS

কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি আড়াল করতে নয়াদিল্লি ধারাবাহিকভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে—এমন অভিযোগ করেছে অল পার্টিজ হুররিয়ত কনফারেন্স (এপিএইচসি)। সংগঠনটির দাবি, ভারত সরকার কাশ্মীরে চলমান দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঢাকতে কখনও পাকিস্তানের ওপর দায় চাপাচ্ছে, কখনও বা হুররিয়ত নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস (কেএমএস)-এর বরাতে এক বিবৃতিতে হুররিয়তের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ মিনহাস বলেন, দখলকৃত কাশ্মীরে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কার্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন’-এর নামে ঘরে ঘরে হানা দিয়ে কাশ্মীরিদের হয়রানি করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আফস্পা, পিএসএ এবং ইউএপিএ’র মতো দমনমূলক আইন ব্যবহার করে কাশ্মীরিদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হুররিয়তের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এই দমননীতি আরও তীব্র হয়েছে। এ অবস্থাকে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবিকে স্তব্ধ করার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছে সংগঠনটি।

হুররিয়তের দাবি, কাশ্মীর কখনই ভারতের অংশ ছিল না। ১৯৪৭ সাল থেকে অঞ্চলটি জোরপূর্বক দখল করে রাখা হয়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় গণভোটের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বানই প্রমাণ করে—কাশ্মীর একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত অঞ্চল।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দখলকৃত কাশ্মীরে নিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছে হুররিয়ত কনফারেন্স। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব বক্তব্য অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য হুমকি। ভারতের নেতৃত্ব কাশ্মীরিদের স্বাধীনতাকামী মনোভাব, দৃঢ় অবস্থান ও ধৈর্যের কাছে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলেই এখন হুমকির ভাষা ব্যবহার করছে।

বিবৃতিতে ভারতের বিভিন্ন কারাগার এবং কাশ্মীরে আটক সব রাজনৈতিক নেতার মুক্তির দাবিও জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন হুররিয়তের চেয়ারম্যান মাসাররাত আলম বাট, শাব্বির আহমদ শাহ, মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক, আসিয়া আন্দরাবি, নয়িম আহমদ খান, নাহিদা নাসরিন, ফেহমিদা সুফি, আয়াজ আকবর, পীর সাইফুল্লাহ, মেরাজউদ্দিন কালওয়াল, শহিদ-উল-ইসলাম, ফারুক আহমদ দার, ড. মোহাম্মদ কাসিম ফাখতু, মুশতাক-উল-ইসলাম, ড. হামিদ ফয়াজ, বিলাল সিদ্দিকী, মাওলানা বশির ইরফানি, মোহাম্মদ রফিক গণাই, আবদুল আহাদ পারা, ড. মোহাম্মদ শফি শরিয়েতি, গোলাম কাদির বাট, মোহাম্মদ ইউসুফ ফালাহি, আমির হামজা, সৈয়দ শহীদ ইউসুফ শাহ, সৈয়দ শাকিল ইউসুফ শাহ, আবদুল আহমদ পারা, নূর মোহাম্মদ ফয়াজ, হায়াত আহমদ বাট, শওকত হাকিম, জাফফর আকবর বাট, জাহুর আহমদ বাট, উমর আদিল দার, সেলিম নানাজি, মোহাম্মদ ইয়াসিন বাট, ফয়াজ হুসেইন জাফেরি, আদিল সিরাজ জারগার, দাউদ জারগার, অ্যাডভোকেট মঈন আবদুল কাইউম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ বাট, মানবাধিকারকর্মী খুররম পারভেজ, মোহাম্মদ আহসান উন্তু এবং সাংবাদিক ইরফান মজিদ।

সংগঠনটি বলেছে, এই নেতারা দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি। তাদের মুক্তি ছাড়া কাশ্মীর সংকটের সমাধানে কোনও বাস্তব অগ্রগতি সম্ভব নয়।

সর্বশেষ