বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সমগ্র দেশে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নীলনকশা তৈরি করেছে। তারা ইতিমধ্যেই একটি গোপন স্লিপার সেল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, আর দিল্লির সরাসরি সহায়তায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এসব অপকর্ম চালানোর জন্য গোপনীয় নির্দেশনা দিচ্ছে এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের মাটিতে বসে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ল্যাব ও ওয়ার্কশপে এই ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের উপকরণ সাজানো হচ্ছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে :
(ক) অগণিত পরিমাণ জাল টাকা ছাপানো
(খ) ঘরোয়া বোমা ও শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি,
(গ) ছোট ছোট ভাড়াটে গ্যাংকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে , বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ছাপা হচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা ও কলকাতায় যা চোরাই পথে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকানো হচ্ছে। যা ব্যবহার করে তারা অন্য দলের সেই প্রার্থীদের কিনে নেবে যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক, এবং তাদের জয়ী করার জন্য ব্যবহার করবে।
একই সঙ্গে এই টাকা দিয়ে সহিংসতা ও অরাজকতা বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।এছাড়া, ভয়ঙ্কর দেশীয় অস্ত্র ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যাতে পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, জাল টাকার উৎস শনাক্ত করে ধ্বংস করা, অস্ত্রের প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করা এবং এই চক্রকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা। যদি দেশবাসী এবারও এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গোপন ও বিষাক্ত ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা বাংলাদেশকে আবারও দিল্লির পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করতে এক চুলও পিছু হটবে না। দেশপ্রেমিক সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে!
