মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় প্রশাসনের অভিযানে বন্ধ হলো ২১৫টি মুসলিম স্কুল

দখলকৃত কাশ্মীরে মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর দমননীতি, বন্ধ করে দেওয়া হলো ২১৫টি স্কুল
দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় প্রশাসনের অভিযানে বন্ধ হলো ২১৫টি মুসলিম স্কুল। ছবি : কেএমসি

ভারত দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর আবারও কঠোর দমননীতি চালু করেছে ভারতীয় প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে জামাত-ই-ইসলামি (জেইআই) ও এর সহযোগী ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট (এফএটি) পরিচালিত মোট ২১৫টি স্কুল জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে তারা।

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের তথ্যমতে, উপত্যকার ১০ জেলায় ছড়িয়ে থাকা এসব স্কুল দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে মুসলিম শিশুদের জন্য ইসলামি শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত ব্যবস্থা চালু রেখেছিল। গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী। অথচ এখন সেই শিক্ষাঙ্গনগুলোই পরিণত হয়েছে ভারতীয় দমননীতির শিকার।

এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছেন দখলকৃত কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাম নিবাস পাসওয়ান। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার ভিত্তিতে জারি করা ওই আদেশে গোয়েন্দা সংস্থার কথিত ‘অপ্রীতিকর রিপোর্ট’ এবং স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অজুহাত দেখানো হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটরা জোরপূর্বক এসব স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন এবং নিজেদের পছন্দসই নতুন কমিটি গঠন করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জামাত-ই-ইসলামিকে বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এর আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত হয়রানি ও দমননীতির মুখোমুখি। ২০২২ সাল থেকে বহু স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে ভর্তি সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে এবং শিক্ষার পরিবেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।

প্রশাসনের এই আকস্মিক পদক্ষেপে অভিভাবক, শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনা মাঝপথে থমকে যাবে। কাশ্মীরিদের মতে, এটি কেবল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনারই অংশ। মুসলিম সমাজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘নিরাপত্তার’ অজুহাত দেখিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।

সূত্র: কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস