গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা ও পরিকল্পিত দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নীরবতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এই নীরবতা ইসরায়েলকে আরও বেপরোয়া করে তুলছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, গাজায় যা ঘটছে, তা নিছক মানবিক সংকট নয়—এটি একটি পরিকল্পিত গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষ। অথচ এই দুঃসময়ে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নীরবতা গভীর হতাশার।
হামাস বলছে, গাজার পঁচিশ লাখ মানুষ আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অথচ এই ভয়াবহ পরিস্থিতির বিপরীতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর তেমন কার্যকর কেন প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে না। এই নীরবতা নিপীড়িত জাতির মনোবল ভেঙে দিচ্ছে এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আরও রক্তপিপাসু করে তুলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানুষ গাজায় না খেয়ে মরছে, পিপাসায় কাতরাচ্ছে, আর রাফাহ সীমান্তে আটকে আছে হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক। এটি মানবতার প্রতি অবমাননা।
হামাস মনে করিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামি সম্মেলনের কোনো সিদ্ধান্ত আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
সংগঠনটি আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই নীরবতা ভাঙুন। অবিলম্বে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ান, অবরোধ তুলে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করুন।
হামাস আরও বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুন, দূতাবাস বন্ধ করুন, রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করুন।
তাদের ভাষায়, এই অপরাধী রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক পরিসরে একঘরে করাই হবে প্রথম পদক্ষেপ—যাতে তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো বর্বরতা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
এদিকে মায়াদিন টেলিভিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬৩ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন ত্রাণের আশায় অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষ।
একই দিনে ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া দুর্ভিক্ষে মারা গেছেন আরও কয়েকজন, যাদের মধ্যে রয়েছে একটি নবজাতক শিশুও।
সূত্র: মায়াদিন