মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল
গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, রোববার ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৪ মে থেকে একটি নতুন তদারকি ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু হবে। এর আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে গাজায়।

অ্যাক্সিওস-এর সাংবাদিক বারাক রাভিদ জানান, নতুন পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ব্যবস্থার মাধ্যমেই সহায়তা পৌঁছাবে। এই সহায়তা পাঠানো হবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP), ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার সহযোগিতায়।

সহায়তার মধ্যে থাকবে হাসপাতালের জন্য জরুরি ওষুধ এবং বেকারির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ময়দা।

ইসরায়েলের দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, রোববারের ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া অনেক মন্ত্রী মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের ফলেই এসেছে।

সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমগুলোর তথ্যে জানা যায়, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচসহ কয়েকজন মন্ত্রী সিদ্ধান্তটির বিরোধিতা করলেও তা ভোট ছাড়াই কার্যকর করা হয়। চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, বৈঠকে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এই সিদ্ধান্তকে ‘গুরুতর ভুল’ আখ্যা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী গাজায় সহায়তা পাঠিয়ে বড় ভুল করছেন। তিনি এ বিষয়ে ভোটের দাবি করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।

পরে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দফতর থেকে জানানো হয়, সামরিক অভিযানের পরিধি আরও বিস্তৃত করার প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় খাদ্য ও ওষুধ আটকে রেখে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। গত ২ মার্চ থেকে গাজার মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কার্যত অপ্রাপ্তির পর্যায়ে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের ভয়াবহ হামলার যেমন কোনো ন্যায্যতা নেই, তেমনি গোটা ফিলিস্তিনি জনগণকে শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণ অমানবিক। তিনি অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি এবং সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

এদিকে গাজার ওপর ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যা। সরকারি তথ্যমতে, রোববার সকাল থেকেই চালানো হামলায় অন্তত ১৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা