গতকাল শুক্রবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আশ-শারা রাজধানী দামেস্কের কাসরুশ শাআব প্রাসাদে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে স্বাগত জানান।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘সানা’ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট আশ-শার’র সাথে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আশ-শাইবানি। বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছেছেন। আজ দিনের শুরুতে তাঁর আগমনের খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
সংবাদে বলা হয়েছে, জটিল আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট ও ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে—দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতেই মাহমুদ আব্বাসের এই সফর।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এ সফরের আগে গত মার্চে কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়। এরও আগে, জানুয়ারিতে সিরিয়া সফর করেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফা। তাঁর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল দামেস্কে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদসহ শীর্ষস্থানীয় সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেয়, যার মাধ্যমে ৬১ বছরের বাথ পার্টির শাসন ও আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের দখলদারিত্বের অবসান ঘটে।
এরপর ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, নতুন সিরীয় প্রশাসন আহমাদ আশ-শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর হবে বলে জানানো হয়।
সূত্র: টিআরটি অ্যারাবিক