মিশর গাজা থেকে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে উত্তর সিনাইয়ের একটি শহরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েল এই পরিকল্পনাকে গাজার পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তুলে ধরলেও কায়রো এটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার মিশরের সাধারণ তথ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের কোনো সত্যতা নেই। মিশর বরাবরই ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এসেছে, আর এই ধরনের পরিকল্পনা তাদের নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
মিশর স্পষ্ট করে বলেছে, গাজাবাসীকে চাপে ফেলে কিংবা স্বেচ্ছায় অন্যত্র পাঠানোর যে কোনো প্রচেষ্টা তারা প্রত্যাখ্যান করে, বিশেষ করে যদি সেটা মিশরের ভেতরে হয়। কায়রোর মতে, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া কোনো সমাধান নয়, বরং এটি তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার শামিল। পাশাপাশি, এই ধরনের পদক্ষেপ মিশরের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করবে।
মিশরের তথ্য সংস্থা জানায়, ৪ মার্চ কায়রোতে অনুষ্ঠিত ‘জরুরি আরব সম্মেলনে’ গাজার পুনর্গঠনের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। মিশর বরাবরই বলে আসছে, ফিলিস্তিনিদের গাজার ভেতরেই থাকা উচিত, এবং এই অবস্থান থেকে তারা একচুলও সরবে না। শুধু মিশর নয়, সম্মেলনে অংশ নেওয়া আরব দেশগুলোও এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি গণমাধ্যম, বিশেষত ‘আই ২৪ নিউজ’, দাবি করেছে মিশর গাজার ফিলিস্তিনিদের উত্তর সিনাইতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে এবং এটি নাকি আরব নেতাদের আলোচনার মাধ্যমেই চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
মিশর আবারও স্পষ্ট করেছে, তারা গাজার জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। কায়রোর বার্তা পরিষ্কার— গাজাবাসী গাজাতেই থাকবে, আর তাদের ভূমি রক্ষার লড়াইয়ে মিশর সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরা