হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে লন্ডন ভিত্তিক পত্রিকা আল কুদস আল আরাবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
যেখানে জানানো হয়, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে হামাসের বহু নেতা ও সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্রগুলো জানায়, সিরিয়ার কারাগারগুলোতে বিনা বিচারে অন্তত ৯৪ জন হামাস সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তারা আরোও জানায়, বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর সিরিয়ার নিরাপত্তা সংস্থার দপ্তর থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা নথি গুলোতে দেখা গেছে, আসাদ শাসনামলে হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কাউকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ বহাল ছিলো।
দুই বছর পূর্বে হামাস এবং আসাদ সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা সত্ত্বেও সরকার হামাসকে একটি ‘বিশ্বাসঘাতক সংগঠন’ হিসাবে চিহ্নিত করে।
আল-কাসসাম ব্রিগেডের বিশিষ্ট কমান্ডার মামুন আল-জালুদি (আবু জুদাত) সহ কোনো বন্দির মুক্তির বিষয়টিও সূত্রগুলি অস্বীকার করে।
সূত্রের দাবি, হামাস বন্দিদের একটি তালিকা হিজবুল্লাহর প্রাক্তন নেতা হাসান নাসরুল্লাহর কাছে জমা দিয়েছিল।
নাসরুল্লাহর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি সিরিয়ার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। তবে সূত্রগুলো জানিয়েছে, নাসরুল্লাহ হামাসকে এসংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রদান করেননি।
ধারণা করা হয়, তিনি জানতে পেরেছিলেন তালিকাভুক্ত সবাইকে ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য ফাঁস হলে সমঝোতার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এটি গোপন রাখা হয়েছিল। যদিও সূত্রের দাবি অনুসারে, এই সমঝোতার প্রক্রিয়া আদতে কখনোই সত্যিকার অর্থে অগ্রসর হয়নি।
তারা জানান, আসাদ সরকার শুধুমাত্র তার মিত্র ইরান ও হিজবুল্লাহর চাপে পড়ে একটি সমঝোতা প্রক্রিয়ায় আসতে সম্মতি জানায়।
সূত্রগুলো আরোও জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে হামাস ও আসাদ সরকারের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ইজরায়েল যখন ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং সালেহ আল-আরুরি সহ হামাসের বিভিন্ন নেতাদের হত্যা করে, তখনও দামেস্ক কোনো শোকবার্তা পাঠায়নি।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর