দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে গাজা শহরে ছয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ফিলিস্তিনি হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার বিকেলে প্রতিরোধযোদ্ধাদের নিরাপত্তা ইউনিটের ওয়েবসাইট মাজদ আল আমনি এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিরোধের তরবারি কোনো বিশ্বাসঘাতককে ছাড় দেবে না। যারা দখলদারকে তথ্য সরবরাহ করে জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পিঠে ছুরি মারে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা চলমান আগ্রাসনে ঘরবাড়ি, সাধারণ মানুষ ও প্রতিরোধযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় সহায়তা করেছে।
গাজায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ও শরিয়াভিত্তিক সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই রায় কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য, গুপ্তচরবৃত্তির ব্যাপারে হামাস কোনো ধরনের শিথিলতা দেখায় না, কারণ এটি সরাসরি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের স্থিতি বিপন্ন করে।
হামাসের প্রতিরোধশক্তির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি আগ্রাসনের সময় দখলদার ইসরায়েল জনগণের ভেতরে গুপ্তচর ঢুকিয়ে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে। তবে প্রতিরোধশক্তির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো নিয়মিত এসব গুপ্তচর শনাক্ত করছে এবং তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গুপ্তচরদের কারণে আর নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝরতে দেওয়া হবে না। যারা দখলদার বাহিনীকে সাহায্য করবে কিংবা তাদের অপরাধকে সহজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গাজায় দীর্ঘ ৭০০ দিন ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। বোমাবর্ষণ ও বিমান হামলায় ক্রমেই বাড়ছে শহীদ ও আহতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সহযোগীদের দমন এখন প্রতিরোধশক্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: শিহাব









