সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় জুবা প্রদেশের কিসমায়োতে মার্কিন সেনা ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মুক্তিকামী প্রতিরোধ গোষ্ঠী আশ-শাবাব। দায় স্বীকার করে শাবাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলায় মার্কিন সেনাদের প্রাণহানি ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মার্কিন আফ্রিকা কমান্ড (আফ্রিকম) এক বিবৃতিতে হামলার কথা স্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এর আগে কেনিয়ার লামু অঞ্চলের মানদা বে–তে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটির ওপর আশ-শাবাবের হামলার পরও প্রথমে আফ্রিকম ক্ষয়ক্ষতির কথা গোপন করে। পরে আশ-শাবাবের মিডিয়া ধ্বংসযজ্ঞের ছবি প্রকাশ করার পর বাধ্য হয়ে প্রাণহানির কথা স্বীকার করে।

কিসমায়ো হামলার পর আশ শাবাব বিবৃতিতে জানায়, তারা সরাসরি মার্কিন সেনাদের টার্গেট করেছে। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপ ছিল গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে।
বিবৃতিতে আশ শাবাব জানায়, আমরা মার্কিন ক্রুসেডারদের ও তাদের দোসর শাসকদের বলছি, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞে তোমাদের সমর্থন কোনোদিনই হিসাব ছাড়া পার পেয়ে যাবে না। যতদিন পর্যন্ত তোমরা আমাদের ভূমি দখল করে রাখবে এবং ইসরায়েলি দখলদারদের অপরাধে পাশে দাঁড়াবে, আর যতদিন আমাদের শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকবে—আমাদের হামলা ও অভিযান ততদিন চলতেই থাকবে।
এই হামলা কে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্য, গাজা যুদ্ধের সঙ্গে এই হামলার যোগসূত্র রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শাবাবের এই হামলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা হয়। সংগঠনটির বিবৃতি থেকে উদ্ধৃত করে নেটিজেনরা মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়াতে আহ্বান জানান।
সম্প্রতি সাবেক সোমালি প্রেসিডেন্ট শরিফ শেখ আহমেদ দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় সেনাবাহিনী কার্যত ভেঙে পড়েছে এবং দেশ এখন প্রতিরোধগোষ্ঠী আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।
সূত্র : এসএনএ





