মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

সৈন্যসংকটে গাজা দখলের পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা

গাজা যুদ্ধের মানসিক ধাক্কা, যুদ্ধে ফিরতে না চাওয়ায় কারাগারে ৪ ইসরায়েলি সেনা
সৈন্যসংকটে গাজা দখলের পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা। ছবি : সংগৃহীত

গাজা দখলের প্রস্তুতিতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে ইসরায়েল। চারটি ডিভিশন গড়ে প্রায় ৮০ হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছিল তারা। তবে বিপুলসংখ্যক রিজার্ভ সেনাকে ডাকতে গিয়ে বড় সংকটে পড়েছে দখলদার সেনাবাহিনী। অনেকেই আর্থিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে মাঝামাঝি সময়ে পূর্ণমাত্রার হামলার পরিকল্পনা থাকলেও এ পরিস্থিতি তা অনিশ্চিত করে তুলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা গাজার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে এবং যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেসব এলাকায় বারবার মহড়া চালিয়েছে।

যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজা নগরী সরাসরি দখল থেকে বিরত ছিল ইসরায়েল। এর মূল কারণ, শহরটি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সম্পদ ও জনবল প্রয়োজন। যুদ্ধের আগে গাজা নগরীতে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ বসবাস করত। এখনো এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি দখলে নামতে গেলে ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি দরকার। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষে রিজার্ভ সেনাদের মধ্যে ক্লান্তি ও অনীহা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছে ইসরায়েল। গত ১ সেপ্টেম্বর গণহত্যা–বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সংগঠন স্বীকার করেছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পর্যাপ্ত সেনা জোগাড়ে ব্যর্থ হলে ইসরায়েলের অভিযান ধীরগতির হয়ে পড়বে। এতে গাজা দখলের প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়ে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। একই সময়ে এই অভিযান ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে মিলে যেতে পারে, কারণ ২০২৬ সালের অক্টোবরে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। অন্যদিকে, হামাসকে বারবার আঘাত করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে, গাজা নগরীতে প্রবেশ করলে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে তারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়যুদ্ধ চালাতে সক্ষম হবে।