ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেত্সালেল স্মোত্রিচ আবারও গাজার জনগণকে গণহত্যার হুমকি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, গাজার পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তার ভাষায়, ‘যারা গুলিতে মরবে না, তারা ক্ষুধায় মরবেই।’
এটি স্মোত্রিচের একার বক্তব্য নয়। এর আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টও গর্ব করে জানিয়েছিলেন ইসরায়েল গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে পূর্ণ অবরোধ দিয়েছে। তখন তিনি গাজাবাসীদের ‘মানুষের রূপে পশু’ আখ্যা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করার ডাক দিয়েছিলেন।
ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টির নেতা স্মোত্রিচ তার তথাকথিত ‘গাজায় বিজয়ের পরিকল্পনা’ তুলে ধরে বলেন, সমস্যার সমাধান হলো গাজার জনগণের স্বেচ্ছায় অভিবাসন। এজন্য তিনি সীমান্ত খোলার এবং ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানান, গাজার জমি সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে।
হামাসকে পরাজিত করার কৌশল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্মোত্রিচ বলেন, প্রতি সপ্তাহে গাজার একটি করে অংশ দখল করা হবে। এক মাসের মধ্যেই অধিকাংশ এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এতে হামাসের সামরিক শক্তি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তাদের পুরোপুরি নিরস্ত্র করা সম্ভব হবে।
তবে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে কথা বললেও তিনি স্বীকার করেন, গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনারা এখনও চাপে রয়েছে। তার দাবি অনুযায়ী, হামাসের হাতে কেবল মধ্য গাজার কয়েকটি ব্রিগেড অবশিষ্ট আছে, যা ধ্বংস করতে পারলেই ‘পূর্ণ বিজয়’ নিশ্চিত হবে।
দেশের ভেতরে যারা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে, তাদের উদ্দেশে স্মোত্রিচ বলেন, কিছু ইসরায়েলি আত্মসমর্পণের কথা বলছে, কিন্তু আমরা সেই কণ্ঠস্বর শুনব না। বিজয় সম্ভব, এবং তা দ্রুত আসবে। আমাদের অবশ্যই সেই পরম শয়তানকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে, যে ৭ অক্টোবর আমাদের ওপর আঘাত হেনেছিল।
সূত্র: আল জাজিরা











