মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র সমর্পণ নয়: হামাস

ইসরায়েলের দখলদারত্ব যতদিন থাকবে, ততদিন প্রতিরোধ ও অস্ত্র বহনের অধিকারও বৈধ থাকবে।
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র সমর্পণ নয়: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র সমর্পণ নয়: হামাস। ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, যতদিন না একটি পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, ততদিন অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না।

শনিবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে হামাস এই প্রতিক্রিয়া জানায়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এক গোপন অডিও রেকর্ডিংয়ে বলেছেন, হামাস অস্ত্র সমর্পণের জন্য প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি।

হামাস এই বক্তব্যকে ‘অপপ্রচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরায়েলের দখলদারত্ব যতদিন থাকবে, ততদিন প্রতিরোধ ও অস্ত্র বহনের অধিকারও বৈধ থাকবে। এটি আন্তর্জাতিক আইনেও স্বীকৃত।

হামাস আরও জানায়, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আগপর্যন্ত জাতীয় অধিকার থেকে একচুলও সরে আসার প্রশ্নই নেই।

বন্দিমুক্তির দাবিতে তেলআবিবে বিক্ষোভ

শনিবার স্টিভ উইটকফ তেলআবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ার’-এ গিয়ে ইসরায়েলি বন্দি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে শত শত ইসরায়েলি প্রিয়জনের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন। চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই ছিল উইটকফের তৃতীয় ইসরায়েল সফর।

সফরের একদিন আগে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ যৌথভাবে দুই ইসরায়েলি বন্দি— এভিয়াতার ডেভিড ও রম ব্রাসলাভস্কি-র একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, অপুষ্টিতে ভোগা ওই দুই বন্দি নিজেদের দুরবস্থার কথা জানাচ্ছেন। এটি প্রকাশের পর ইসরায়েলি জনমত আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

গাজার বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক

এর আগের দিন উইটকফ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) পরিচালিত একটি সাহায্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সফর শেষে তিনি বলেন, গাজার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে জানানোই তার মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার একটি নতুন পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হচ্ছে।

তবে ফিলিস্তিনি জনগণের ভাষ্যে, এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আসলে দখলদারত্বকে আড়াল করার কৌশল। তাদের অভিযোগ, এটি একটি ‘সহায়তার ফাঁদ’, যার মাধ্যমে অবরোধ ও বাস্তুচ্যুতি কে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে। তাদের দাবি, মে মাস থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১,৩০০ ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন, যাঁরা সবাই ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন।

হামাস এই তৎপরতাকে ‘প্রচারণার নাটক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সংগঠনটির ভাষ্যে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ কমাতে এ ধরনের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় ইসরায়েলের ‘ক্ষুধানীতিকে’ পরিকল্পিত মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে।

সর্বশেষ