গাজার তীব্র মানবিক সংকটের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ঘিরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ৮৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকলেও বেশিরভাগই লুট হয়ে গেছে। প্রশাসনের দাবি, সাধারণ মানুষের কাছে সহায়তা না পৌঁছাতে ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে ইসরায়েল।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার আকাশপথেও কিছু ত্রাণ পাঠানো হয়, তবে তা পরিমাণে ছিল অনেক কম। প্যারাস্যুটে পাঠানো এসব ত্রাণ গাজার পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধবিধ্বস্ত আল তুফাহ ও জাবালিয়া এলাকায় গিয়ে পড়ে। কিন্তু ওইসব এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি সেনা অবস্থানের কারণে স্থানীয়রা ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারেননি।
এর আগে, ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত স্থানীয় লোকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ১১ জন শহিদ হন। এই ঘটনার পরই ইসরায়েল সীমান্ত দিয়ে ট্রাক ঢুকতে দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ত্রাণ চলে যায় কিছু সশস্ত্র চক্র ও লুটেরাদের হাতে। প্রশাসনের অভিযোগ, এসব চক্রকে সহায়তা করেছে ইসরায়েলি ড্রোন ও সেনারা।
গাজা সরকার বলছে, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজায় বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে এবং ত্রাণ আটকে দিয়ে দুর্ভিক্ষকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। যা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত । তারা এর জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে।
এই পরিস্থিতিতে গাজাবাসীর কাছে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা পৌঁছাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছে গাজা সরকার।
সূত্র: আরটি