গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলা, গণহত্যা ও অবরোধের জবাবে নতুন সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারি জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘চতুর্থ পর্যায়ের’ সামুদ্রিক অবরোধ শুরু করতে যাচ্ছে হুথিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন এই পর্যায়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা যেকোনো কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজ—সেটি যেকোনো দেশেরই হোক না কেন—বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে হুথিদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
সংশ্লিষ্ট সব কোম্পানিকে ইসরায়েলি বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে হুথি বাহিনী বলেছে, এই বিবৃতি জারির পর থেকে যেসব জাহাজের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সংযোগ আছে, সেগুলো হামলার ঝুঁকিতে থাকবে—তা তাদের গন্তব্য যেখানেই হোক না কেন।
বিবৃতিতে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, উত্তেজনা প্রশমনে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। গাজার জনগণের ওপর যেভাবে নির্যাতন চলছে, তা কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি নৈতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গাজায় হামলা ও অবরোধ বন্ধ হলে তবেই কেবল সামরিক অভিযান স্থগিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাস ধরে গাজায় বিমান, স্থল ও সমুদ্রপথে লাগাতার হামলা চলছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। অথচ আরব ও মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব। এ অবস্থায় ইয়েমেনের পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব নয়।
হুথি মুখপাত্র বলেন, বর্বরতা, হত্যাযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ইয়েমেন ধর্মীয় ও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই হত্যাকাণ্ড, ধ্বংসযজ্ঞ ও অবরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
সূত্র: আরটি