গাজা উপত্যকায় আবারও আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে তারা ক্ষুধার্ত মানুষদের লক্ষ্য করে হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে সাতটি প্যাকেটে আটা, চিনি ও ক্যানজাত খাবার ফেলেছে। এর আগে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ফের শুরু হবে এবং এর প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হবে।
এছাড়া জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার গাড়ির জন্য ‘নিরাপদ করিডোর’ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানায় তারা। তবে ত্রাণ বিতরণের পূর্ণ দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বলে দাবি করছে ইসরায়েল।
ইতোমধ্যে ত্রাণ বিতরণে পরিবর্তন এনেছে ইসরায়েল। এতদিন বিষয়টি ছিল ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর নিয়ন্ত্রণে, এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হাতে। ইসরায়েল বলছে, এতে ত্রাণ কার্যকরভাবে পৌঁছাবে এবং হামাসের হাতে যাবে না।
তবে মানবিক সহায়তার এ ঘোষণার মধ্যেও গাজার বাস্তব চিত্র ভয়াবহ। অপুষ্টি ও খাদ্যঘাটতিতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপে লাজারিনি আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহকে ‘ভুল কৌশল’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এতে সংকট নিরসন হবে না, বরং মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
এমন সময় ইসরায়েল মানবিক যুদ্ধবিরতির কথাও জানিয়েছে। চ্যানেল ১২ টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
সূত্র: আল জাজিরা