মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

মার্কিন দূত স্টিভেন উইটকফের মন্তব্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখাল হামাস

মার্কিন দূত স্টিভেন উইটকফের মন্তব্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখাল হামাস
মার্কিন দূত স্টিভেন উইটকফ। ছবি : আল জাজিরা

গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীদের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের জবাবকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের দূত স্টিভেন উইটকফের মন্তব্যে তীব্র বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সংগঠনটির দাবি, তাদের অবস্থান একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই চুক্তির পথ তৈরি করেছে, অথচ মার্কিন প্রতিনিধির মন্তব্য উল্টো বিভ্রান্তিকর বার্তা দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, আলোচনার শুরু থেকেই আমরা দায়িত্বশীলতা ও নমনীয়তা প্রদর্শন করে চলেছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ইসরায়েলি আগ্রাসন থামানো এবং গাজাবাসীর ভোগান্তির অবসান ঘটানো।

হামাসের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া এসেছে বিস্তৃত পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতে। এতে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠী, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র এবং বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মতামতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানায়, প্রাপ্ত সব প্রস্তাব ও মতামতের প্রতি তারা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে এবং চুক্তির সফলতায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

এমন প্রেক্ষাপটে, যখন মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের জবাবকে গঠনমূলক ও ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছেন, তখন মার্কিন দূত স্টিভেন উইটকফের নেতিবাচক মন্তব্যকে অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক বলছে হামাস। তাদের মতে, এ ধরনের বক্তব্য আলোচনার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের প্রতিনিধিদলের প্রত্যাহার

সম্প্রতি স্টিভেন উইটকফ হামাসকে ভালো অভিপ্রায় প্রদর্শনে ব্যর্থ ও আত্মকেন্দ্রিক আচরণে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র দোহায় অবস্থানরত আলোচক দলকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং নতুন বিকল্প কৌশলের কথা ভাবছে।

ইসরায়েলও একই রকম পদক্ষেপ নিয়ে তাদের আলোচক দলকে দোহা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। তবে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত দুইটি কাতারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপ আলোচনার ভাঙনের ইঙ্গিত নয়। বরং নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিষয়টি হতে পারে একটি কৌশলগত বিরতি।

চুক্তির সম্ভাবনা এখনো জীবিত: হামাস

রয়টার্স-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা জানান, চুক্তির সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। তবে ইসরায়েলি পক্ষের নানা টালবাহানার কারণে বাস্তবায়নে সময় লাগছে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৬ জুলাই থেকে কাতারের দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন এক দফা পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়, যেখানে কাতার ও মিসর মধ্যস্থতাকারী এবং যুক্তরাষ্ট্র সহযোগী ভূমিকা পালন করছে। আলোচনার মূল প্রস্তাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, যার আওতায় বন্দি বিনিময়, মানবিক সহায়তা ও যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা হবে।

তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা ও পরিচয় সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো দু’পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়ে গেছে।

সর্বশেষ