মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

রোহিঙ্গা সম্পত্তি দখল করে দেয়া হচ্ছে রাখাইনদের,তীব্র হচ্ছে অনাহার ও নিপীড়ন 

রোহিঙ্গা সম্পত্তি দখল করে দেয়া হচ্ছে রাখাইনদের,তীব্র হচ্ছে অনাহার ও
রোহিঙ্গা সম্পত্তি দখল করে দেয়া হচ্ছে রাখাইনদের,তীব্র হচ্ছে অনাহার ও নিপীড়ন । ছবি : এএনএ

পশ্চিম মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু ও বুথিডাং এলাকায় রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা কৃষিজমি, বনভূমি ও চিংড়ির ঘের দখলে নিয়ে সেখানে রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর লোকদের বাস্তচ্যুত করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। স্থানীয়দের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে আরাকান নিউজ এজেন্সি।

বুথিডাং এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যু’ দেখিয়ে অন্তত ৪০টি রোহিঙ্গা গ্রাম থেকে তাদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। পরে সেই গ্রামগুলোতে রাখাইনদের বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু পুনর্বাসন নয়—রাখাইনদের দেওয়া হয়েছে চাষাবাদের জন্য বীজ, কৃষিযন্ত্র, খাবার ও পোশাক।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের জমি দখল করে সেখানে অন্য জাতিগোষ্ঠী বসানোর ঘটনাকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উসকানিমূলক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকেই এটিকে দীর্ঘমেয়াদি জাতিগত উত্তেজনা তৈরির পরিকল্পনার অংশ বলে আশঙ্কা করছেন।

বুথিডাংয়ের একজন রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমাদের নিজ গ্রাম বা জমির কাছেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা চরম দারিদ্র্য ও অনাহারে ভুগছি। অথচ অন্য জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা নানা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।’

এক নারী জানান, শহরে গিয়ে জীবিকার সুযোগ নেই রোহিঙ্গাদের। মৌসুমি রোগে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। বরং চাঁদাবাজি, বেআইনি গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আরও জানা গেছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের মালিকানাধীন বনভূমি থেকে কাঠ কেটে পাচার করছে বাংলাদেশে। দখলে নিচ্ছে চিংড়ির ঘেরও। যাঁরা নিজেদের জমির দাবি করছেন, তাঁদের ‘আরসার’ সদস্য বলে অভিযুক্ত করে ভয় দেখানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে জমি ও সম্পদ দখল করছে। অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সেতু পার হতে গেলেও গুনতে হচ্ছে টাকা।

সার্বিকভাবে, রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর একপ্রকার নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করেছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠি—এমন অভিযোগই তুলছেন ভুক্তভোগীরা।

সর্বশেষ