তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোগান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার ‘অপরাধী চক্র’-এর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, তারা এমন ভয়াবহ নৃশংসতা চালাচ্ছে, যা বর্বরতায় হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
‘এক্স’এ দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজায় যে বিভীষিকাময় দৃশ্য সংঘটিত হচ্ছে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপে সংঘটিত হলোকাস্টের মধ্যেও দেখা যায়নি। প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ মানুষ একটুকরো রুটি কিংবা এক চুমুক পানির জন্য প্রাণ হারাচ্ছে—এ দৃশ্য মানবতার চরম পরাজয়ের প্রতিচ্ছবি। একটি বিবেকবান হৃদয়ও এই নির্মমতা দেখে নিশ্চুপ থাকতে পারে না। শুধু মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই নয়, নীরবতাও এক ধরনের অপরাধ।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গণহত্যাকে সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধ আখ্যা দিয়ে এরদোগান বলেন, এই হত্যাযজ্ঞের বিপক্ষে না দাঁড়িয়ে নীরব থাকা মানেই সেই অপরাধের অংশীদার হওয়া। আমরা কেউই এ বর্বরতাকে মেনে নিতে পারি না, বিশেষ করে যখন গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে, মানুষ খাদ্যের খোঁজে প্রাণ হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ভুলে যেতে পারি না সেই শিশুর শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা, যেগুলো রাস্তায় পড়ে থাকে, কুকুরে খায়। আমরা ভুলতে পারি না সেই মায়ের বুকফাটা কান্না, সেই হৃদয়বিদারক আহাজারি, সেই দুর্ভিক্ষের করুণ চিত্র—এসব আমাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী দাগ হয়ে থাকবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরদোগান বলেন, এই অন্ধকার সময়ে, যখন মানুষ ক্ষুধায় মরছে, তখন আমাদের উচিত মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে জোরালোভাবে বলা—এই বর্বরতা আর না।
তিনি বিবৃতির শেষে বলেন, চলুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বলি—এই অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে। ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে যাওয়া এই অপরাধী চক্রকে আর মানবতার ওপর কালিমা ছড়াতে দেওয়া যাবে না।
সূত্র: আরটি