মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

প্রয়োজনে আমরা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বারবার হামলা চালাতে প্রস্তুত: ট্রাম্প

মার্কিন প্রসিডেন্ট
মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : টিআরটি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সাম্প্রতিক এক মন্তব্য ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক বিরোধে ফের হাওয়া লেগেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাকচি বলেন, সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ‘গুরুতর ক্ষতি’ হয়েছে এবং এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পরিস্থিতি নেই।

এর পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি বলেছেন— ‘বিশাল ক্ষতি হয়েছে, সব ধ্বংস হয়ে গেছে’… আমি তো সেটা আগেই বলেছিলাম। প্রয়োজনে আবারও সেটা ঘটবে।’

গত ২১ জুন, যুক্তরাষ্ট্র বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইরানের ইস্পাহান, নাতান্জ ও ফোরদুতে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর মধ্যে ফোরদুর অবস্থান পাহাড়ের নিচে আধা মাইল গভীরে। হামলার আগে ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক অভিযান চালিয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও অন্তত ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে।

হামলার পর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ট্রাম্প দাবি করেন, এসব স্থাপনা ‘সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ কাঠামোগুলোরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘এই অভিযানের সফলতা নিয়ে যারা সন্দেহ প্রকাশ করছেন, তারা আসলে প্রেসিডেন্টকে দুর্বল প্রমাণ করতে চাইছেন।’ তাঁর ভাষায়, ‘ইরানে সব পারমাণবিক স্থাপনা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে।’

সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ জানান, ১৮ ঘণ্টাব্যাপী ওই অভিযানে ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত ১৪টি ভারী বোমা ফেলা হয়, যার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলি পারমাণবিক গবেষণা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফোরদুর পারমাণবিক স্থাপনাটি এখন ‘অকার্যকর’ হয়ে পড়েছে এবং হামলার কারণে ইরানের কর্মসূচি কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান হামলার আগে তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম স্থানান্তর করতে পারেনি, আর নাতান্জ ও ফোরদুর সেন্ট্রিফিউজগুলো এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা আর মেরামতের উপযোগী নয়।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি একে ‘অত্যন্ত বড় ক্ষয়ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, আগের গতিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ইরানের পক্ষে এখন কঠিন হবে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, ‘এই অভিযান বিশ্বকে আরও নিরাপদ করেছে।’ তাঁর মতে, ট্রাম্পের ‘দৃঢ় নেতৃত্বে’ এই সফলতা এসেছে।

সর্বশেষ