মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

সুয়াইদার পরিস্থিতি নিয়ে ফতোয়া জারি করল সিরিয়ার ফতোয়া পরিষদ

সুয়াইদার পরিস্থিতি নিয়ে ফতোয়া জারি করল সিরিয়ার ফতোয়া পরিষদ
সুয়াইদার পরিস্থিতি নিয়ে ফতোয়া জারি করল সিরিয়ার ফতোয়া পরিষদ। ছবি : সানা

সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে সহিংসতা, রক্তপাত ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রেক্ষিতে একাধিক শরয়ি বিধান ঘোষণা করেছে দেশটির ফতোয়া পরিষদ।

ফতোয়ায় বলা হয়েছে—

প্রথমত, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইহুদি দখলদার শত্রুর সহযোগিতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা ইসলামি শরিয়তে স্পষ্টভাবে হারাম। ওই শত্রু (ইসরায়েল) বারবার প্রমাণ করেছে, তারা চুক্তি বা সমঝোতার যোগ্য নয়। সুতরাং তাদের সাথে সম্পর্ক কেবলই শত্রুতার।

দ্বিতীয়ত, শিশু ও নারীদের হত্যা, সাধারণ নিরীহ মানুষের ওপর হামলা এবং যেকোনো গোষ্ঠীর মানুষকে জোর করে ঘরছাড়া করা সম্পূর্ণ হারাম। বিশেষ করে পবিত্র মাসে এসব অপরাধ আরও গুরুতর, এবং এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত মত রয়েছে।

তৃতীয়ত, যারা শত্রুর ছত্রছায়ায় শক্তি অর্জন করছে, তাদের সাথে দেশপ্রেমিক সাধারণ নাগরিকদের পার্থক্য করতে হবে। দেশের যেকোনো অঞ্চলের, যেকোনো সম্প্রদায়ের নাগরিকের ওপর হামলা বা নির্যাতন সম্পূর্ণ হারাম।

চতুর্থত, ইসলামী দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো—সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা, হামলাকারীদের রুখে দেওয়া এবং বিপদে পড়া বা বাস্তুচ্যুত মানুষদের সাহায্য করা। তারা যে সম্প্রদায়েরই হোক না কেন।

পঞ্চমত, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায় এমন উসকানিমূলক বক্তব্য শরিয়তে সম্পূর্ণ হারাম এবং সমাজে এর পরিণতি মারাত্মক। কোনো খবর ছড়ানোর আগে তার সত্যতা যাচাই করা জরুরি। তা প্রচার করলে উপকার হবে, না ক্ষতি—সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া দরকার।

ষষ্ঠত, জান-মাল ও সম্মান রক্ষায় আত্মরক্ষা বৈধ। পাশাপাশি নিপীড়িত, দুর্বল ও অপহৃতদের সাহায্য করাও এক মহৎ কাজ। যেখানে সামর্থ্য আছে, সেখানে সহযোগিতা করা উচিত। তবে রাষ্ট্রের নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা শরিয়তসম্মত নয়।

গতকাল শুক্রবার সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা বেদুইন গোত্রের সশস্ত্র যোদ্ধারা এবং স্থানীয় দ্রুজ মিলিশিয়ারা।

এই সংঘর্ষ ঘটে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ও সিরিয়ান সেনাবাহিনীর প্রদেশ থেকে প্রত্যাহারের পর। তবে বেদুইন গোত্রগুলোর দাবি, তারা সরকারিভুক্ত কোনো বাহিনী নয়, ফলে যুদ্ধবিরতির কোনো বাধ্যবাধকতা তাদের ওপর নেই।

এক বিবৃতিতে তারা সুয়েইদায় অবস্থানরত ও দ্রুজদের সঙ্গে লড়াইরত বেদুইন যোদ্ধাদের সহায়তায় সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যেন প্রদেশের বাইরে থেকে আসা যোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত না করা হয়।

সর্বশেষ