সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল আসাদ ও বাশার আল আসাদের ওপর কখনোই আস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটস। এবার তিনি একইভাবে অবিশ্বাস প্রকাশ করলেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমাদ আশ শারার প্রতিও, যিনি ‘জোলানি’ নামেও পরিচিত।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এ সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে কাটস বলেন, আমি জোলানির ওপর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখি না। সে জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর ওপর নির্ভর করে সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের দমন করছে। এ গোষ্ঠীগুলোকেই সে যে কোনো দিন ইসরায়েলের গোলান মালভূমির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতিই আমাদের নিরাপত্তার প্রধান ভরসা। হারমোন পর্বত ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান আমাদের নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় গ্যারান্টি।
সাক্ষাৎকারে আরও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দামেস্কে কথার পালা শেষ, এখন সময় এসেছে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানানোর।
তিনি জানান, সিরিয়ার সুয়াইদা শহরে দ্রুজ জনগোষ্ঠীর ওপর যারা হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলবে যতক্ষণ না তারা পুরোপুরি নির্মূল হয়। কাটস বলেন, আমাদের দ্রুজ ভাইয়েরা, নিশ্চিন্ত থাকুন। সিরিয়ায় আপনাদের স্বজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি ও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অঙ্গীকার করেছি, এবং তা রক্ষা করব।
সাক্ষাৎকারে সিরীয় সেনাবাহিনীর উদ্দেশেও কড়া বার্তা দেন কাটস। তিনি বলেন, তাদের উচিত অবিলম্বে সুয়াইদা থেকে নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়া।
গত কয়েক দিন ধরে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুয়াইদায় তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সেখানে সরকারি বাহিনী, বেদুইন এবং উপজাতীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে সশস্ত্র দ্রুজ গোষ্ঠী। শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে গোলাগুলি, সংঘর্ষ এবং দখল-পাল্টা দখলের লড়াই। পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সূত্র: আরটি