সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির একটি আটককেন্দ্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রটিতে পানি, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবার ঘাটতির কারণে এই ঘটনা ঘটে।
আরাকান সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদক জানান, নিহত দুই শিশুর বয়স ছিল পাঁচ বছরের কম। পরিবারের সঙ্গে মংডু শহরের একটি থানায় আটক ছিল তারা। সংঘর্ষের কারণে আগেই মংডু থেকে পালিয়ে যাওয়া এসব পরিবারকে ফিরে আসার পর থেকে আটক ও জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে।

মারা যাওয়া দুই শিশু ছিল ৭২ জন রোহিঙ্গার মধ্যে, যাদের গত ২৬ এপ্রিল থেকে মংডুর একটি থানা ভবনে আটক রাখা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৪২ জনই নারী ও শিশু। আটক হওয়ার তিন দিনের মাথায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়, তবে বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। আটক অবস্থায় তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হয়, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, এমনকি তাদের কাছ থেকে খাবার, পানি বা ওষুধও নিতে দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন মাত্র এক বেলার খাবার দেওয়া হতো।
চলতি জুলাইয়ের শুরু থেকে মংডু শহরের ১৭টি রোহিঙ্গা পরিবারকে প্রতিদিন জোর করে কাজ করানো হচ্ছে। তাদের দিয়ে রাস্তায় ময়লা পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার ও ঝোপঝাড় কেটে ফেলার কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মংডু থানার প্রধান কর্নেল ইউ মং আই সিন জানিয়েছেন, এ অভিযোগে তাদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, রোহিঙ্গা বন্দিদের সঙ্গে আরাকান আর্মির ব্যবহার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চেয়েও ভয়াবহ, যদিও মিয়ানমার সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পরিচিত। তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির এসব অব্যাহত নিপীড়নও একটি গুরুতর অপরাধ।
সূত্র : এনএ