গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একযোগে চালানো হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত তিনজন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
হামলাগুলো চালানো হয় খান ইউনুস, জাবালিয়া, তুফাহ ও শুজাইয়াসহ চারটি পৃথক এলাকায়। এসব অভিযানে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা একটি মারকাভা ট্যাংকে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে তিন সেনা নিহত হয়। জাবালিয়ার উত্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ইউনিট লক্ষ্য করে চালানো পৃথক হামলায় আরও তিন সেনা আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রতিরোধ যোদ্ধারা এক হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সামরিক যান ধ্বংস করে। এ ঘটনায় এক সেনা নিখোঁজ হন, পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। হামলার পর ইসরায়েল ‘হানিবাল প্রোটোকল’ চালু করে—যা সেনা বন্দি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিলে সক্রিয় করা হয়।
খান ইউনুসে কাসসাম ব্রিগেডের সদস্যরা একজন সেনাকে আটক করার পর হত্যা করে বলে জানায় ইসরায়েলি সূত্র। যদিও ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ‘অগ্রিম প্রস্তুতি’র ভিত্তিতে অভিযানে ছিল, তবে বাস্তবতায় সেনাবাহিনী চাপে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে, হামলাগুলোর পর শুজাইয়া ও তুফাহ এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আহত হন।
নতুন কৌশলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা
সামরিক বিশ্লেষক ওসামা খালেদ বলেন, প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে নিখুঁত তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হচ্ছে। তারা এখন নতুন কৌশলে অভিযান পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে অপহরণের মতো চাপে ফেলার পদ্ধতি।
বিশ্লেষক রামি আবু জুবাইদা বলেন, বন্দি বিনিময়ের পথ সুগম করতে ইসরায়েলি সেনা অপহরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ যোদ্ধারা চাপ সৃষ্টি করছে। কাসসাম ব্রিগেডের সাবেক প্রধান মুহাম্মদ আদ দাইফের শাহাদাতবার্ষিকীতে চালানো এসব হামলা প্রতিরোধ যুদ্ধের ধারাবাহিকতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যৌথ অভিযান অব্যাহত
কাসসাম ব্রিগেড ও কুদস ব্রিগেড যৌথভাবে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছে। তারা সম্প্রতি একটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে এবং আল-আবতাশ কবরস্থানে ইসরায়েলি একটি সামরিক বুলডোজার উড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা