ভারতের আহমেদাবাদে নতুন করে শুরু হয়েছে মুসলিমবিরোধী ‘বুলডোজার অভিযান’। ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ অভিবাসীর অপবাদ দিয়ে হাজার হাজার মুসলিম নাগরিকের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে দমন-পীড়নের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় মোদী সরকারের নির্দেশে ইতিমধ্যেই অন্তত ২,০০০ মুসলিম পরিবারের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল (২০ মে) থেকে শুরু হয়েছে আরও ভয়াবহ অভিযান—আহমেদাবাদের চান্দোলা তালাব এলাকায় অন্তত ৭,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমেছে প্রশাসন। শুধু প্রথম দিনেই প্রায় ৭০০ ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে—৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে—এই এলাকাতেই বসবাস করে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের দাবি, এই এলাকা নাকি ‘বাংলাদেশিদের আবাসস্থল’ হয়ে উঠেছে! আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার নিজেই গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দিয়েছেন।
সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, একই এলাকার কিছু হিন্দু বসতি রয়েছে, যেগুলোর একটিও ভাঙা হয়নি। প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে—সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না!
পেহেলগাম হামলার ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত অভিযান শুরু হয়েছে, তা এক গভীর সংকেত বহন করছে—ভারতে মুসলিমদের জন্য দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে তাদের নিজ ভূমিতে টিকে থাকার অধিকার।
সূত্র: এমএম