মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন

ফিলিস্তিনের পতাকা
১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন

গাজা উপত্যকা থেকে এক মিলিয়ন (১০ লাখ) ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ–এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরিকল্পনাটি এতটাই অগ্রসর হয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি লিবিয়ার নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছে।

এনবিসির দাবি, এই তথ্য পাঁচজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দেয়—যদি লিবিয়া এই পরিকল্পনায় রাজি হয়, তবে তারা দেশটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা কয়েক বিলিয়ন ডলারের তহবিল অবমুক্ত করবে।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়াযমিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো গাজার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন। তিনি এটিকে ‘মানবিক উদ্যোগ’ হিসেবে উপস্থাপন করেন।

এর আগেও, ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জারেড কুশনার গাজার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এই পরিকল্পনায় মিশর ও জর্ডানকে যুক্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসন প্রবল চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি, প্রস্তাবে সাড়া না দিলে দেশ দুটির জন্য নির্ধারিত কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়। তবে কায়রো ও আম্মান স্পষ্টভাবেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বা ব্যর্থতার পথেই রয়েছে। তাদের ভাষায়, এটি অবাস্তব এবং বাস্তবায়নের জন্য উপযোগী নয়। বিশেষ করে মিশর ও জর্ডানের দৃঢ় বিরোধিতা এবং মার্চের শুরুতে কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লিগ সম্মেলনে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থানই এ পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ