নতুন করে সঙ্ঘাতের আগুনে জ্বলছে গাজা উপত্যকা। বন্দি মুক্তির স্বল্প বিরতির পর ফের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার ভোরে মার্কিন-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক ও সৈনিক ঈদান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার পর কিছু সময় শান্ত থাকলেও, আবারও শুরু হয় গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা।
ইসরায়েলের সামরিক রেডিও জানায়, কয়েক ঘণ্টার বিরতির পর গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই পূর্ব গাজা, উত্তর বেইত লাহিয়া, দক্ষিণ রাফাহ ও খান ইউনুসে ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, গাজার দারাজ পাড়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ভবনে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের ওপর গোলাবর্ষণে একজন নারী শহিদ হন, আহত হন আরও অনেকে। দক্ষিণ গাজার মাওসি খান ইউনুস এলাকায় শরণার্থীদের একটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান আরও কয়েকজন।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। হতাহতের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জাবালিয়ার ফাতিমা বিনতে আসাদ স্কুলে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের ওপর চালানো হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ১৬ জন শহিদ হন। মধ্য গাজার নুসেইরাত ক্যাম্পের হামাদ আল-হাসানাত মসজিদে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আর বুরেইজ ক্যাম্পে কয়েকদিন আগে আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া, গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে ছয়জন, দক্ষিণের কেইজান আল-নাজ্জার ও আল-মানারা এলাকা থেকে সাতজন এবং উত্তরের বেইত হানুন থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
নতুন করে এই হামলা উপত্যকাজুড়ে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান অব্যাহত থাকলেও, বাস্তব চিত্র এখনও ভিন্ন।
সূত্র: RT