বুরকিনা ফাসোতে সহিংসতা প্রতিদিনই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে হামলার শিকার হচ্ছেন নিরীহ সাধারণ মানুষ। যদিও সরকার এসব হামলাকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ বলছে, বাস্তবে এতে প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা—আর দায় চাপানো হচ্ছে বিদ্রোহীদের ওপর।
১১ মে ভোরে উত্তরাঞ্চলের জিবু শহরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন’ সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। আল-কায়েদা-সম্পৃক্ত এই গোষ্ঠীর দাবি, তারা সাধারণ মানুষের ওপর সরকারি দমন-পীড়নের প্রতিক্রিয়ায় লড়ছে।
এর একদিন পর, ১২ মে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়—গত মার্চে সোলেনজো এলাকায় সেনাবাহিনী ও সরকারঘনিষ্ঠ ‘ভলান্টিয়ারস ফর দ্য ডিফেন্স অব দ্য ফাদারল্যান্ড’ মিলিশিয়ার অভিযানে শতাধিক ফুলানি জনগোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার, ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নিহতদের পাশে দাঁড়িয়ে মিলিশিয়ারা ‘ফুলানিদের নির্মূল’ করার ডাক দিচ্ছে।
সরকার এসব অভিযোগ আমলে না নিয়ে দাবি করেছে, নিহতরা ‘সন্ত্রাসী’ ছিল। তদন্ত বা দায় স্বীকার তো নয়ই—সরকার বরং প্রতিবারের মতো এবারও দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, সরকারের এই নীরবতা ও মিথ্যা ব্যাখ্যা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা তৈরি করছে।
এভাবে চলতে থাকলে বুরকিনা ফাসোতে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। মানবিক সংকট এখনই তীব্র—দুই মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত, অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা