দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আবারও তুঙ্গে। শুক্রবার রাতে ভারতের হামলার জবাবে শনিবার ভোরে পাকিস্তান ‘বুনিয়ানুল মারসুস’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পিয়াস এলাকায় ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম এবং বাথানকোট ও উধমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইসলামাবাদ অভিযোগ করে, ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, তারা ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই করেছে এবং ৭৭টি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত বলছে, তারা পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিয়েছে এবং একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।
কাশ্মীর, অমৃতসর, জম্মু এবং পেশোয়ারসহ সীমান্তবর্তী একাধিক শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। দু’দেশেই বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অন্তত ৬২ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতির জেরে ভারত তাদের ২৪টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে এবং আকাশসীমা আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রিত করছে। পাকিস্তানও নিজেদের আকাশসীমায় সতর্কতা জারি করেছে। সীমান্ত এলাকায় দুই পক্ষই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জি-৭ দেশগুলো ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে পুরনো বিরোধ নতুন করে জটিল সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
সূত্র: আল জাজিরা