মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ইয়েমেনের হুদায়দাহ ও সানায় দখলদার ইসরায়েলের ৩০টির বেশি বিমান হামলা

হুথি সমর্থিত এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনার পর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৬ মে) হিব্রু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে ৩০টির বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানগুলো রাজধানী সানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও হুদায়দাহ প্রদেশে টানা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ‘ইদিয়থ আহরোনোথ’-এর খবরে বলা হয়, হুদায়দাহ অঞ্চলে অন্তত আটটি হামলা চালানো হয়েছে।

ইয়েমেনের হুথি-সমর্থিত চ্যানেল ‘আল মাসিরা’ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী হুদায়দাহ শহর ও বন্দর লক্ষ্য করে ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে। চ্যানেল ১৪ জানায়, হামলায় অংশ নিয়েছে ডজনখানেক যুদ্ধবিমান। মূলত হুথিদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি কংক্রিট কারখানা ও হুদায়দাহ বন্দর ছিল লক্ষ্যবস্তু।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বন্দর নগরী’। তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে বসে পুরো অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও সেনাপ্রধান।

ইদিয়থ আহরোনোথ’ আরও জানায়, এ হামলায় হুদায়দাহ বন্দর এলাকায় ৫০টির বেশি বোমা ফেলা হয়েছে।

এর আগে রোববার ইসরায়েল স্বীকার করে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হন এবং ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকাতে মার্কিন ‘থাড’ ও ইসরায়েলি ‘হেতজ’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে।

এ ঘটনার পরপরই হুথি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ আকাশপথ অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।’ তিনি বিশ্বব্যাপী বিমান সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলগামী সব ফ্লাইট বাতিল করার আহ্বান জানান, যাতে যাত্রী ও বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

সর্বশেষ